Tuesday, August 5, 2025

স্ত্রীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বামীর মরদেহ নিয়ে গেল প্রতিপক্ষ

আরও পড়ুন

নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের মরদেহ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পান্থশালা ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত তাজুল ইসলাম উপজেলার সায়দাবাদ বালুচর এলাকার মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই সায়দাবাদে হানিফ মাস্টার ও এরশাদ মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক নারী নিহত হন। একই দিনে প্রতিপক্ষের লোকজন তাজুল ইসলামকে আটক করে মারধর করে ও পায়ে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আরও পড়ুনঃ  আ.লীগ নেতাকে বাড়িতে আশ্রয় দিলেন তাঁতী দল নেতা, অতঃপর...  

পরে রোববার রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সোমবার সকালে মরদেহ নিয়ে রায়পুরায় ফিরছিলেন তাজুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন। ফেরিঘাটে পৌঁছালে হানিফ মাস্টারের অনুসারীরা তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মরদেহ ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন মর্জিনা।

তিনি বলেন, আমার স্বামী নিরপেক্ষ ছিলেন। একটি ছোট মুদি দোকান চালিয়ে সংসার চলত। চাঁদা না দেয়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ফের মরদেহও নিয়ে গেছে তারা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আরও পড়ুনঃ  আমি তোকে বিয়ে করিনি, এতদিন অভিনয় করেছি মাত্র

এদিকে, মরদেহটি সায়দাবাদের প্রবাসী সেন্টু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের প্রস্তুতি চলে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে হানিফ মাস্টারের অনুসারী জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুরার বাঁশগাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আতিয়ার রহমান বলেন, মরদেহটি মামা বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে কোনো নিকটাত্মীয় পাওয়া যায়নি। মরদেহের এক পায়ে প্লাস্টার ছিল। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ রায়পুরায় আনা হয়েছিল। তবে অস্ত্র ঠেকিয়ে মরদেহ নেয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা বিএনপি নেতা

প্রসঙ্গত, বিগত এক বছরে সায়দাবাদ এলাকায় হানিফ মাস্টার ও এরশাদ মিয়া গ্রুপের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষে এরশাদপন্থী ৭ জন ও হানিফপন্থী একজন নিহত হন বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ